এই 5 টি ব্রহ্মাস্র ভারতবর্ষে কমিউনিজমকে নির্মূল করে দেবে..........
এই 5 টি ব্রহ্মাস্রের প্রয়োগে ভারত থেকে নির্মূল হবে বামপন্থা।
1) বিপ্লব= সহিংসতা। অবশ্যই বিপ্লব মানে সহিংসতা।
কমিউনিজম বিপ্লবের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন করে "সমাজতন্ত্র" প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
তবে গণতান্ত্রীক রাষ্ট্রে হলে হিংসার প্রয়োজন হয়না,জন সমর্থন যথেষ্ট।
সেই বিপ্লবের নেতৃত্ব দেবে কমিউনিষ্ট পার্টি।
2)ক্ষমতায় আসার পর ধীরে ধীরে সমাজ ব্যাবস্থার পরিবর্তন ঘটানো এবং "সমাজতন্ত্র" প্রতিষ্ঠা করা।
3) সর্বহারা শ্রেণির অধিপত্ত স্থাপন করা অর্থাৎ পূর্ব রাষ্ট্র ব্যাবস্থাকে ধ্বংস করে অগণতান্ত্রীক এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা ।
4)ব্যাক্তিগত সম্পত্তীর অবসান ঘটানো। সমস্ত কিছুকে রাষ্ট্রকেন্দ্রীক করে তোলা। রাষ্ট্র সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করবে ও সমাজতান্ত্রীক সম্যতা গড়ে তোলবে।
5)কমিউনিজমে রাষ্ট্র সম্পর্কে ভিন্ন দৃষ্টি ভঙ্গি রয়েছে।মার্কসবাদে এই বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা করা হয়েছে।
মার্কসীয় মতবাদে রাষ্ট্র শোষণের যন্ত্র।
এর যৌক্তিকতা দেওয়া আছে মার্কসবাদে।
আমরা ভারতীয়রা রাষ্ট্র বলতে যা বুঝি মার্কস কিন্তু সেই রাষ্ট্রের কথা বলেন নি।
মার্কসের মতে কোন দেশের পরিচালনা ব্যাবস্থাই হল রাষ্ট্র।
তাই কোন কমিউনিষ্ট যখন বলে রাষ্ট্রের কথা তখন সে রাষ্ট্রের পরিচালনা ব্যাবস্থাকে উদ্দেশ্য করে বলে।
তারা ক্ষমতায়ন অর্থাৎ মার্কসীয় বিপ্লবে বিশ্বাসী।তাদের দেশ নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই। সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করাই তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।
(কমিউনিষ্টরা সর্বদা রাজনৈতিক কেন্দ্রীকরণে বিশ্বাসী। গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দল গুলি সরকার গড়ে কিন্তু সরকার চালায় না।
অপরদিকে কমিউনিষ্ট পার্টি নিজে সরকার চালায়,সরকারকে নির্দেশ দেয়, দল ছাড়া সরকার কিছু করতে পারেনা।
কমিউনিষ্ট পার্টি সরকারে আসলেই প্রথমে সব কিছুকে রাজনৈতিক কেন্দ্রীকরণ করে।
এর উদাহরণ হিসাবে আমরা ভারতের তিনটি রাজ্যের কমিউনিষ্ট শাসনকাল দেখতে পারি।
পশ্চিমবঙ্গ = 34বছর
ত্রিপুরা = 35 বছর
কেরল = বর্তমান কমিউনিষ্ট পার্টি)
বিদ্র :- উপরিক্ত পয়েন্ট গুলি নিচের রেফারেন্সের উপর বিশ্লেষণ করে লেখা হয়েছে।